সালাত

নির্ধারিত সময়ে নামায আদায়ের হুকুম

প্রবন্ধটি পড়া হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু

মূলঃ শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন অনুবাদ সম্পাদনা : আবু বকর

নির্ধারিত সময়ে নামাযের কার্যাবলী সম্পাদন করা উহা সময়ের অগ্রপশ্চাতে করার হুকুম

সকল নামায তার নির্ধারিত সময়ে আদায় করা ওয়াজিব; আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশানুসারে। তিনি বলেন,

“নিশ্চয়ই নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় করা মুমিনের উপর ফরয করা হয়েছে।” [৪:১০৩]

আল্লাহ তা‘আলার এ কথাও এর সাক্ষ্য বহন করে-

“নামায কায়েম করো পশ্চিমে সূর্য ঢলে পড়ার সময় থেকে রাতের অন্ধকার আচ্ছন্ন হওয়া পর্যন্ত, আর ফজরের সময় কুরআন পাঠ করো, কেননা, ফজরের কুরআন পাঠের সময় ফেরেশতা উপস্থিত থাকেন।”

আর এখানে যে নির্দেশ এসেছে তা ওয়াজিব বা অবশ্যম্ভাবী বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। আব্দুল্লাহ ইব্‌ন ওমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত- নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদিন নামাযের আলোচনা করেন, অত:পর ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি নামাযের সময়ের দিকে লক্ষ্য রেখে যথা সময়ে নামায আদায় করবে, তার জন্য রয়েছে একটি জ্যোতি, দলিল (প্রমাণ এবং কিয়ামতের দিনে ভয়াবহ শাস্তি থেকে পরিত্রাণ। আর যে ব্যক্তি নামাযের সময়ের হেফাজত করবে না, তার জন্য জ্যোতি, প্রমাণ থাকবে না এবং কিয়ামত দিবসে সে পরিত্রাণও পাবে না। কিয়ামতের দিবসে তার হাশর হবে অভিশপ্ত কারূন, ফির‘আউন, হামান, উবাই ইব্‌ন খালফ এর সাথে। (আহমদ: ২/১৬৯) ইমাম মুনযিরী বলেন, হাদীসটি ইমাম আহমাদ জইয়েদ বা উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।

নির্ধারিত সময়ের কিছূ পূর্বে বা সম্পূর্ণ পূর্বে নামায আদায় করা কোন মুসলিমের উচিত হবে না। কেননা তা আল্লাহর সীমা লংঘন ও তাঁর আয়াতসমূহকে উপহাস করার শামিল। হ্যাঁ, যদি অজানাবস্থায় বা ভুলবশত: অথবা অসতর্ক অবস্থায় কেউ এরূপ করে তাতে কোন পাপ নেই। সে তার কাজের সওয়াব পাবে। তবে সময় আসা মাত্র নামায আদায় করা তার জন্য ওয়াজিব হবে। কেননা, নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কাজেই যখন সে সময় আসার পূর্বেই নামায আদায় করেছে, তার নামায হয়নি এবং সে তার দায়িত্ব থেকেও মুক্তি পায় নি। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর হাদীসানুসারে ইমাম মুসলিম আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণনা করেন- “যে ব্যক্তি এমন আমল করল যে সম্পর্কে শরীয়তে কোন নির্দেশ নেই, তা অবশ্যই প্রত্যাখ্যাত হবে। (সহিহ মুসলিম হাদীস ১৭১৮)

অনুরূপভাবে কোন মুসলিমের এটা উচিত নয় যে, সে নির্ধারিত সময়ের পরে নামায আদায় করে, কেননা, তা আল্লাহ তা‘আলার

নির্দেশের সীমালংঘন ও তাঁর আয়াতের প্রতি বিদ্রুপের শামিল। কেউ যদি বিনা ওজরে এরূপ করে তবে সে গুনাহগার হবে। এতে তার নামায কবুল হয় না, বরং প্রত্যাখ্যাত হয়। উল্লেখিত আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) এর হাদীসানুসারে সে তার দায়িত্ব হতে মুক্ত হতে পারে না। তার উপর ওয়াজিব সে যেন আল্লাহর নিকট অনুতপ্ত হয়, আর অবশিষ্ট জীবন সৎ কাজে ব্যয় করে।

আর সে যদি কোন ওযরের কারণে যথা সময়ে নামায আদায় করতে দেরী করে, যেমন ঘুমিয়ে যাওয়া বা ভুলে যাওয়া অথবা কোন ব্যস্ততার কারণে এ ধারণা করে যে, নামায তার নির্দিষ্ট সময় হতে দেরীতে আদায় করা জায়েয, এমতাবস্থায় যখনই এমন ওযর দূর হবে তখনই সে তা আদায় করে নিবে। আনাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর হাদীসানুসারে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি নামায আদায় করার কথা ভুলে যায়, সে তখনই আদায় করবে, যখন তার স্মরণে আসে। ঐ নামায আদায় করা ছাড়া আর কোন কাফ্‌ফারা নেই।”

অন্য বর্ণনায় আছে “যে নামাযের কথা ভুলে যায় অথবা নামায রেখে ঘুমিয়ে যায়”। (বুখারী ও মুসলিম)

আর যদি কোন ওজরে কয়েক ওয়াক্তের নামায কাযা হয়ে যায়, তবে ওযর দূর হলে সে আগের নামায আগে তবে ওযর দূর হলে সে আগের নামায আগে এবং পিছের নামায পিছে এমনিভাবে আদায় করে নেবে। সে যেন এজন্য বিলম্ব না করে। সে প্রত্যেক নামায তার ওয়াক্তের মধ্যে আদায় করবে। জাবের ইব্‌নে আব্দুল্লাহর হাদীস প্রমাণ করে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) খন্দকের যুদ্ধে সূর্যাস্তের পর ওযু করে আসরের নামায আদায় করেন। অত:পর মাগরিবের নামায আদায় করেন। (বুখারী ও মুসলিম)

তাছাড়া আবু সাঈদ খুদরী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে উহা বর্ণিত আছে তিনি বলেন, খন্দকের যুদ্ধে মাগরিবের পরও কিছু রাত পর্যন্ত আমাদের নামায আদায় করার সুযোগ হয় নি। বর্ণনাকারী বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বেলাল (রাদিয়াল্লাহু আনহু)কে ডাক দিয়ে ইকামাত দিতে বলেন, অত:পর সে যোহরের ইকামাত দিলে তিনি অতি উত্তমরূপে তা আদায় করেন।

তারপর আসরের ইকামাত দেয়ার আদেশ দেন, অত:পর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অতি উত্তমরূপে আসরের নামায আদায় করেন যেমনভাবে আসরের ওয়াক্তে আদায় করতেন। আবার তাকে মাগরিবের নামাযের ইকামাত দিতে বলা হয়, এভাবে তিনি মাগারিবের নামায আদায় করেন। (আহমাদ)

কাযা নামায এভাবে আদায় করবে যেভাবে তা ওয়াক্তে আদায় করা হয়। উক্ত হাদীসেই এ কথার প্রমাণ করে। আর আবু কাতাদাহর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) হাদীস থেকে জানা যায়, সফরে একবার নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সঙ্গে তারা ফজরের নামায রেখে সুর্যোদয় পর্যন্ত ঘুমিয়ে ছিলেন। আবু কাতাদাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন- বেলাল (রাদিয়াল্লাহু আনহু) নামাযের আযান দেন, অত:পর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দু’ রাক‘আত সুন্নাত নামায আদায় করেন, তারপর ফজরের নামায আদায় করেন, এরূপে যেমনভাবে প্রতিদিন করে থাকেন। (মুসলিম) একথার উপর ভিত্তি করে বলা হয়েছে যে, রাতের ছুটে যাওয়া (জেহরী নামায দিনে আদায় করলে নামাযের কিরাত স্বশব্দে পড়তে হবে। আর দিনের ছুটে যাওয়া নামায রাতে আদায় করা হলে নামাযের কিরাত মনে মনে পড়তে হবে।

প্রথমটির প্রমাণ হলো আবু কাতাদার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) হাদীস। আর দ্বিতীয়টির প্রমাণ হলো আবু সাঈদ খুদরীর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) হাদীস। কোন কারণবশত: কাযা নামায পরস্পর না হলে কোন অসুবিধা হবে না। তার উপর যে কাযা নামায আছে সে কথা ভুলে পরবর্তী নামায আগে পড়ে ফেলে, তারপর স্মরণ হলে সে উক্ত নামায কাযা পড়বে, আর এজন্য পেছনের নামাযটি দ্বিতীয়বার পড়তে হবে না। এর দলীল হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার পবিত্র বাণী:

“হে আমাদের রব ! আমরা যদি ভুলে যাই কিংবা দোষ করে ফেলি, তাহলে আমাদেরকে পাকড়াও করো না।” (২:২৮৬)

আমাদের অভিমত: যখন কোন ব্যক্তির স্মরণ হবে যে, তার কাযা নামায আছে, আর উপস্থিত নামাযের সময়ও শেষ প্রায়, এমতাবস্থায় তিনি বর্তমানের নিয়তে বর্তমানের নামায আদায় করবেন। তারপর কাযা নামায আদায় করবেন। কেননা, বর্তমানের নামায সমায় যাওয়ার আগে আদায় না করলে দু’ নামাযই কাযা হয়ে যাবে।

আর সর্বাপেক্ষা উত্তম পন্থা হলো প্রথম ওয়াক্তে নামায আদায় করা, কেননা, এটাই ছিল নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নীতি। তিনি দায়িত্ব প্রতিপালনের মাধ্যমে দায়িত্বমুক্ত হওয়া এবং কল্যাণের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রতি সবচেয়ে বেশী অগ্রণী।

সহীহ বুখারীতে আবু বারযাহ আসলামী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণিত আছে যে, জিজ্ঞেস করা হলো যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফরয নামায কোন সময়ে আদায় করতেন? তিনি বললেন: যোহর যাকে তোমরা প্রথম নামায বলো- সূর্য যখন পশ্চিমে ঢলে পড়তো। আর আসর পড়তেন তারপর আমাদের কেউ মদীনার শেষ প্রান্তে তার বাড়ীতে ফিরে অথচ তখনও সূর্যের তাপ প্রখর থাকতো।

সহীহ বুখারীতে আনাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকেও একটি বর্ণনা আছে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এমন সময় আসরের নামায পড়তেন যখন সূর্য উচ্চ ও উজ্জ্বল থাকতো। অত:পর কেউ আওয়ালীর (উঁচু আবাসভূমি) দিকে যেত এবং তথায় পৌঁছার পরও সূর্য উপরে থাকতো, অথচ আওয়ালীর কোন কোন অংশ মদীনা হতে চার মাইল দূরে অবস্থিত ছিল। অন্য বর্ণনায় আছে, আমরা আসর নামায আদায় করতাম, অত:পর আমাদের কেউ কোবার দিকে গিয়ে সেখান থেকে আবার ফিরে আসতাম, তখনও সূর্য উপরে থাকতো। বর্ণনাকারী বলেন, মাগরিব সম্পর্কে তিনি কি বলেছেন তা আমি ভূলে গেছি।

কিন্তু এ সম্পর্কে ইমাম মুসলিম সালামা ইব্‌ন আকওয়া (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণনা করেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে মাগরিবের নামায আদায় করতাম, অত:পর আমাদের কেউ নামায শেষে) ফিরতো, আর তখন সে তার তীর পড়ার স্থান দেখতে পেতো। আর ঈশা যাকে তোমরা ‘আতামা’ বলে থাকো, তা তিনি দেরী করে আদায় করতে ভালবাসতেন এবং এর পূর্বে নিদ্রা যাওয়া এবং পরে কথা বলা অপছন্দ করতেন। তিনি ফজরের নামায হতে এমন সময় অবসর গ্রহণ করতেন, যখন কেউ কাছে ঘেষে বসা ব্যক্তিকে চিনতে পারতো না এবং এতে ষাট হতে একশ আয়াত পর্যন্ত পড়তেন।

বুখারী ও মুসলিমে জাবের (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঈশার নামায কখনও কখনও (বেশী রাত না করে) তাড়াতাড়ি আদায় করতেন, যখন দেখতেন লোকজন সব এসে গেছে। আবার বিলম্বেও আদায় করতেন যখন দেখতেন সব লোক এখনও এসে উপস্থিত হয় নাই। আর ফজর আদায় করতেন অন্ধকার থাকাবস্থায়।

সহীহ বুখারীতে আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত আছে তিনি বলেন, মুসলিম নারীগণ নিজেদের চাঁদর মুড়ি দিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)   এর সাথে ফজর নামাযের জামায়াতে উপস্থিত হতেন। অত:পর তারা নামায আদায় করে নিজেদের ঘরে ফিরে যেতেন অথচ অন্ধকার হেতু তাদের চেনা যেত না।

সহীহ মুসলিমে ইব্‌নে ওমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন: আমরা এক রাতে ঈশার নামাযের জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর অপেক্ষা করতেছিলাম। অত:পর তিনি বেরিয়ে আসলেন যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল অথবা এর কিছু পর। (আমরা জানিনা কোন কাজ তাকে আবদ্ধ রেখেছিল, তার পরিবার বা এছাড়া অন্য কিছু।) যখন তিনি বেরিয়ে আসলেন তখন তিনি বললেন: তোমরা এমন একটি নামাযের জন্য প্রতীক্ষা করছ, যার জন্য অপর কোন ধর্মাবলম্বীরা প্রতীক্ষা করে না। যদি আমি আমার উম্মতের পক্ষে বোঝা হবে একথা মনে না করতাম, তাহলে তাদের নিয়ে এ নামায আমি এ সময়েই পড়তাম। অত:পর তিনি মুয়াজ্জিনকে নির্দেশ দেন, তিনি ইকামত দিলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নামায পড়ান।

সহীহ বুখারীতে আবু যর গিফারী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন: আমরা এক সফরে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে ছিলাম মুয়াজ্জিন যোহরের আযান দেয়ার ইচ্ছা করলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন: কিছু সময় ঠান্ডা হতে দাও। মুয়াজ্জিন আবার আযান দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে তিনি বলেন: আরো কিছু সময় ঠান্ডা হতে দাও। এমনকি আমরা ‘ফাইয়ে তালুল’ বা টিলাসমূহের ছায়া দেখতে পেলাম। অর্থাৎ আমরা যাকে বস্তুর ছায়া বলি তা দেখলাম। অত:পর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন: উত্তাপের আধিক্য দোযখের তাপ থেকে, কাজেই যখন উত্তাপ বাড়বে তখন তা শীতল হওয়ার পর নামায আদায় করবে।

উল্লেখিত হাদীসে জানা যায় যে, দুই ওয়াক্তের নামায ব্যতীত অন্যান্য নামায প্রথম ওয়াক্তে পড়ার জন্য তাড়াতাড়ি করা সুন্নাত:

প্রতমত: উত্তাপের আধিক্য হলে যোহরের নামাযের জন্য এতটা দেরী করতে হবে, যাতে উত্তাপ কিছুটা ঠাণ্ডা হয় এবং বস্তুর ছায়াও দীর্ঘ হয়।

দ্বিতীয়ত: ঈশার নামায রাতের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত দেরী করা যায়, তবে এ ব্যাপারে মুসল্লিগণ সকলে যখন উপস্থিত হবে, তখন তাড়াতাড়ি নামায আদায় করতে হবে। আর যখন দেখা যাবে সকলে আসেন নি তখন দেরী করা যাবে।

source. ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ।

মন্তব্য করুন

Loading Facebook Comments ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button